শিরোনাম |
সাধারন সম্পাদক, শহীদনগর পাইকরহাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরহাদ আলী বলেন,১৯ এপ্রিল ডাববাগানে, পাকবাহীনির সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম সন্মুখ যুদ্ধ হয়। এখানে স্মৃতিসৌধ নির্মানের কথা ছিল, কিন্তু ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর স্বাধিনতার বিপক্ষের শক্তি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারনে সেটা আর সম্ভব হয়নি। বীর বাঙ্গালী, শহীদনগর, সাঁথিয়া, পাবনা
একাত্তরে শহীদের রক্তে লেখা বধ্যভ’মির স্তৃতিস্তম্ভের নাম ”বীর বাঙ্গালী”
মোঃলুৎফর-রহমান সাঁথিয়া, পাবনা
|
![]() একাত্তরে শহীদের রক্তে লেখা বধ্যভ’মির স্তৃতিস্তম্ভের নাম ”বীর বাঙ্গালী” এই ভাষ্কর্যের প্রতিকৃতি আমাদের যে বার্তা বহন করে, তা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উ™বুদ্ধ করবে। ”বীর বাঙ্গালী” ভাষ্কর্যে ৯টি পিলারে দুটি করে ছিদ্র আছে। প্রতিটি ছিদ্রোয় একটি করে তারা বসানো আছে। একটি তারা দ্বারা একজন শহীদকে বুঝানো হয়েছে। বেদীর উপর বীর বাঙ্গালীর হাতে রাইফেল ও অন্য হাতে থাকবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং তিনি বাকি আঠার জনের নেত্রীত্ব দেবেন। আর এটাকে বহনকারী পাথরটি হবে কালো টাইল্্সের , যেটা দ্বারা শোককে বুঝাবে। নির্মান পরিকল্পনায়, তারা গুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে প্রজ্জ্বোলিত করা হবে, রাতে তারা গুলো জ্বলবে,এবং শহীদদের প্রেরনায় বাঙ্গালী জাতী সংকটময় মুহুর্তে জ্বলে উঠতে অনুপ্রানীত হবে। আজ ১৯ এপ্রিল, শহীদনগর স্মৃতি সংরক্ষন ও উদযাপন কমিটির উদ্দ্যোগে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ,স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আযম বলেন, এই যুদ্ধের যে অর্জন ছিল সেটা হলো , আমরা যদি প্রচন্ড প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পাড়তাম তা হলে পাকবাহিনী সব ছাড়খাড় করে দিত। স্মৃতি সংরক্ষন ও উদযাপন কমিটি এবং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষে স্মৃতিস্তম্ভের পরিকল্পনায় যে পাঠাগার এবং কমপ্লেক্স করার কথা ছিল আগামিতে আমরা সেটা করব ইনশাল্লাহ। সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডারের সভাপতি মোঃ রশিদুন্নবী (রাজ) বলেন, যেহেতু আমরা মা-মাতৃকা রক্ষার যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে পারি নাই , তাই আমাদের কর্তব্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে, স্বাধিনতাকে অর্থবহ করে তোলা। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিধির বক্তব্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাঁথিয়া-বেড়ার গণমানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ্যাডঃ শামসুল হক টুকু এম,পি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়েয় শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন উড়াল গতিতে এগিয়ে চলছে। সেদিন যদি শহিদনগরের যোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে না তুলতো তা হলে আমরা কেউই কিছু হতে পারতাম না, এমনকি স্বাধিনতাও অর্জিত হত না। মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কমানা করে সমাপণী বক্তব্য দেন স্মৃতি সংরক্ষন ও উদযাপন কমিটি এবং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি , কাশিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মীর মন্জুর এলাহী। উক্ত অনুষ্ঠানে উপ¯িথত ছিলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধারা, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ, ছাত্র-শিক্ষক , সাংবাদিক সহ সাধারন জনতা। |