শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০২:১৭ পিএম
শিরোনাম মহম্মদপুরে ক্যাডেট কেয়ার এর শুভ উদ্বোদন        সিঙ্গাপুরের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী, বাংলাদেশ ৯৩তম        বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে শিক্ষার্থীরা জড়ো হচ্ছেন গাজীপুরে       ইউনূস সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না বিএনপি: রিজভী       বেনজীরের ফাঁদে পা দেবেন না : জামায়াত আমির       বড় ষড়যন্ত্র হচ্ছে, জড়িত রয়েছে ভারতের মিডিয়া: প্রেস সচিব        খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ       
সাধারন সম্পাদক, শহীদনগর পাইকরহাটী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরহাদ আলী বলেন,১৯ এপ্রিল ডাববাগানে, পাকবাহীনির সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম সন্মুখ যুদ্ধ হয়। এখানে স্মৃতিসৌধ নির্মানের কথা ছিল, কিন্তু ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর স্বাধিনতার বিপক্ষের শক্তি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারনে সেটা আর সম্ভব হয়নি। বীর বাঙ্গালী, শহীদনগর, সাঁথিয়া, পাবনা
একাত্তরে শহীদের রক্তে লেখা বধ্যভ’মির স্তৃতিস্তম্ভের নাম ”বীর বাঙ্গালী”
মোঃলুৎফর-রহমান সাঁথিয়া, পাবনা
Published : Tuesday, 19 April, 2022
একাত্তরে শহীদের রক্তে লেখা বধ্যভ’মির স্তৃতিস্তম্ভের নাম ”বীর বাঙ্গালী”

একাত্তরে শহীদের রক্তে লেখা বধ্যভ’মির স্তৃতিস্তম্ভের নাম ”বীর বাঙ্গালী”

এক সাগর রক্ত, লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ, বহু মা -বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল ডাব-বাগানে (বর্তমান শহীদ নগর) পাকি¯তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় জনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছিল তাদের স্মৃতিকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য ডাববাগানের স্থানীয় নাম করন করা হয় শহীদনগর।এ যুদ্ধে ১৭ জন ই.পি.আর সদস্য যাদের মধ্যে একজন হাবিলদার, দুজন নায়েক,দুজন ল্যান্স নায়েক,  বার জন সিপাহী এবং দুইজন মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্যে শাহাদৎ বরন করেন ও ১৩ জন স্থানীয় ব্যক্তি যারা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করত অর্থাৎ সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেন।ভাগ্যক্রমে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত অবস্থায় প্রানে বেচে যায়। তাদের আত্মত্যাগকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য স্মৃতিসৌধ নির্মান করা হয়, যার নামকরন করা হয় ”বীর বাঙ্গালী”। সাঁথিয়ার কৃতিসন্তান চারু-কলার শিক্ষক ভাষ্কর মোঃ জুলফিকার আলী জুলি ২০০০ সালে কাশিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মীর মন্জুর এলাহীর তত্বাবধানে ছয় মাসের পরিশ্রমে এটি নির্মান করেন। 
এই ভাষ্কর্যের প্রতিকৃতি আমাদের  যে বার্তা বহন করে, তা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উ™বুদ্ধ করবে। ”বীর বাঙ্গালী” ভাষ্কর্যে ৯টি পিলারে দুটি করে ছিদ্র আছে। প্রতিটি ছিদ্রোয় একটি করে তারা বসানো আছে। একটি তারা দ্বারা একজন শহীদকে বুঝানো হয়েছে।
বেদীর উপর বীর বাঙ্গালীর হাতে রাইফেল ও অন্য হাতে থাকবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং তিনি বাকি আঠার জনের নেত্রীত্ব দেবেন। আর এটাকে বহনকারী পাথরটি হবে কালো টাইল্্সের , যেটা দ্বারা শোককে বুঝাবে।
নির্মান পরিকল্পনায়, তারা গুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে প্রজ্জ্বোলিত করা হবে, রাতে তারা গুলো জ্বলবে,এবং শহীদদের প্রেরনায় বাঙ্গালী জাতী সংকটময় মুহুর্তে জ্বলে উঠতে অনুপ্রানীত হবে।
 আজ ১৯ এপ্রিল, শহীদনগর স্মৃতি সংরক্ষন ও উদযাপন কমিটির উদ্দ্যোগে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে ,স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আযম বলেন, এই যুদ্ধের যে অর্জন ছিল সেটা হলো , আমরা যদি প্রচন্ড প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পাড়তাম তা হলে পাকবাহিনী সব ছাড়খাড় করে দিত।
স্মৃতি সংরক্ষন ও উদযাপন কমিটি এবং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের
সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের লক্ষে স্মৃতিস্তম্ভের পরিকল্পনায় যে পাঠাগার এবং কমপ্লেক্স করার কথা ছিল আগামিতে আমরা সেটা করব ইনশাল্লাহ।
সাঁথিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডারের সভাপতি মোঃ রশিদুন্নবী (রাজ) বলেন, যেহেতু আমরা মা-মাতৃকা রক্ষার যুদ্ধে অংশগ্রহন করতে পারি নাই , তাই আমাদের কর্তব্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে, স্বাধিনতাকে অর্থবহ করে তোলা।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিধির বক্তব্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী  ও সাঁথিয়া-বেড়ার গণমানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ এ্যাডঃ শামসুল হক টুকু এম,পি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়েয় শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন উড়াল গতিতে এগিয়ে চলছে। সেদিন যদি শহিদনগরের যোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে না তুলতো তা হলে আমরা কেউই কিছু হতে পারতাম না, এমনকি স্বাধিনতাও অর্জিত হত না।
 মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কমানা করে সমাপণী বক্তব্য দেন স্মৃতি সংরক্ষন ও উদযাপন কমিটি এবং ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি , কাশিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান  মীর মন্জুর এলাহী। 
উক্ত অনুষ্ঠানে উপ¯িথত ছিলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধারা, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ, ছাত্র-শিক্ষক , সাংবাদিক সহ সাধারন জনতা।




« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সর্বশেষ সংবাদ
⇒সর্বশেষ সব খবর...
সর্বাধিক পঠিত
সম্পাদক, প্রকাশক ও মুদ্রাকর: মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : প্ল্যানার্স টাওয়ার, ১০তলা, ১৩/এ বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮-০২-৪১০৬৪১১১, ৪১০৬৪১১২, ৪১০৬৪১১৩, ৪১০৬৪১১৪, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৯৬১১৬০৪,হটলাইন : +৮৮-০১৯২৬৬৬৭০০৩-৪
ই-মেইল : [email protected], [email protected], [email protected], [email protected], web : www.gonokantho.com