শিরোনাম |
দুইশ’র আগেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
খেলা ডেস্ক:
|
বোলাররা আশা দেখালেও একরাশ হতাশা উপহার দিলেন ব্যাটসম্যানরা। ব্যাট হাতে বাংলাদেশ যতটুকু লড়াই করেছে সেটাও বোলারদের সৌজন্যেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে তাইজুল ইসলামের ব্যাটে দল লড়লেও প্রথম ইনিংসে দুইশও পেরুতে পারেনি টাইগাররা। প্রথম দিনেই শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দেওয়ার আনন্দ বাংলাদেশের উবে যায় দিনের শেষ ঘণ্টায় নিজেরা ৩ উইকেট হারানোয়। ব্যর্থতার সেই ধারা বজায় থাকে দ্বিতীয় দিনেও। প্রথম সেশনেই দল হারায় ৩ উইকেট। মধ্যাহ্ন বিরতির পর হাতের চার উইকেটও হারিয়ে গুটিয়ে যায় ১৮৮ রানে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান করা শ্রীলঙ্কা পেয়ে যায় ৯২ রানের লিড। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ইনিংসে বাংলাদেশকে দুইশর কাছাকাছি নেওয়ার কারিগর দুই বোলার তাইজুল ইসলাম ও সৈয়দ খালেদ। প্রথম দিনের শেষ দিকে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৪৭ রান করেন তাইজুল। দশ নম্বরে নামা খালেদ নিজের আগের সেরা অপরাজিত ৪ ছাড়িয়ে করেন ২২ রান। এছাড়া ২০ ছুঁতে পেরেছেন শুধু লিটন কুমার দাস (২৫)। তাইজুলের সঙ্গে তার ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এসেছে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪১ রান। শেষ দিকে নবম উইকেটে ৪০ রান যোগ করেছেন খালেদ ও শরিফুল ইসলাম। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন ভিশ্ব ফার্নান্দো। অন্য দুই পেসার কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কামারা ধরেছেন ৩টি করে শিকার। টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় ১৬ বছর পর বাংলাদেশের মাঠে এক ইনিংসে সবকটি উইকেট নিলেন পেসাররা। এর আগে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুর টেস্টে সবশেষ ১০ উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার তিন পেসার ডেল স্টেইন, মাখায়া এনটিনি ও জ্যাক ক্যালিস। সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২৮০ বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩২/৩) ৫১.৩ ওভারে ১৮৮ (জয় ১২, তাইজুল ৪৭, শাহাদাত ১৮, লিটন ২৫, মিরাজ ১১, শরিফুল ১৫, খালেদ ২২, নাহিদ ০*; ভিশ্ব ১৫.৩-২-৪৮-৪, রাজিথা ১৬-৩-৫৬-৩, কুমারা ১২-১-৩১-৩, জয়াসুরিয়া ৭-১-৩৩-০, ধানাঞ্জয়া ১-০-৪-০) উইকেটের ফাঁটল বড় হতে শুরু করেছে। সময়ের সাথে সাথে কঠিন হয়ে আসছে ব্যাটিং। এমতাবস্থায় দেড়শর আগেই ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পড়ে গেছে প্রবল চাপে। দিনের শুরুতেই খোঁচা দিয়ে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়। ওপেনার করেন ৪৬ বলে ১২ রান। থিতু হয়ে ফেরেন শাহাদাত হোসেন ও লিটন কুমার দাসও। শাহাদাতকেও স্লিপে ক্যাচ বানান লাহিরু কুমারা। ২৬ বলে ১৮ রান করেন শাহাদাত। ৮৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর দায়িত্ব ছিল লিটনের উপর। কারণ তিনিই তখন শেষ স্বীকৃত ব্যাটার। তিনিও কুমারার শিকার হন উইকেট হারিয়ে। কুমারার দারুণ ডেলিভারি লিটনের ব্যাটে লেগে স্টাম্প ভেঙে দেয়। ভাঙে ৪১ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। ফর্মের সাথে লড়াই করা এই কিপার-ব্যাটার দলীয় ১২৪ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ব্যক্তিগত ২৫ রানে। তবে অন্য প্রান্ত আগলে রেখেছেন আগের দিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা তাইজুল ইসলাম। এরই মধ্যে ছাড়িয়ে গেছেন নিজের আগের সর্বোচ্চ ৩৯। ৭১ বলে ৫ চারে ৪১ রানে অপরাজিত আছেন দলে বোলার হিসেবে খেলা এই স্পিনার। তার সাথে দ্বিতীয় সেশন শুরু করবেন সদ্যই ব্যাটিংয়ে নেমে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ, ৬ বলে ২ রান নিয়ে। |