শিরোনাম |
অস্ট্রেলিয়ার ‘হল অব ফেমে’ ক্লার্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() অস্ট্রেলিয়ার ‘হল অব ফেমে’ ক্লার্ক কেবল সাহসী নেতৃত্ব নয়, নান্দনীক ব্যাটিংয়ে হাজার হাজার রান, স্মরণীয় সব ইনিংস ও গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে অবদান রেখেছেন ক্লর্ক। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ এবার পেলেন কিংবদন্তির অনুষ্ঠানিক মর্যাদা। ‘হল অব ফেমে’ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের আরও অনেক কিংবদন্তির পাশে নিজেকে দেখে দারুণ রোমাঞ্চিত ৪৩ বছর বয়সী এই তারকা। “এত অসাধারণ সব ক্রিকেটার, যাদের অনেকেই আমার আদর্শ, ছেলেবেলা থেকে যাদের মতো হতে চেয়েছি এবং অনুসরণ করেছি, তাদের পাশে জায়গা পাওয়া আমার জন্য দারুণ সম্মানের।” “অবসর জীবন একজন মানুষের মধ্যে অনেক কিছু বয়ে আনে। এখন ক্রিকেট দেখার নানা পর্যায়ে খেলাটা কিছুটা মিস করি। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেললে লোকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের কথাই বলে। তবে আমার তো ক্রিকেটের শুরুটা হয়েছিল সেই ছয় বছর বয়সে। এটাই তাই আমার জীবন। এখনও ক্রিকেট আমার জীবনের অংশ।” ছোটবেলা থেকেই সম্ভাবনার ছাপ রাখতে থাকা ক্লার্ক বয়সভিত্তিক দল হয়ে ১৭ বছর বয়সেই হয় প্রথম শ্রেণিতে অভিষেক। ২০০৩ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার ২১ বছর বয়সে। ক্যারিয়ারের প্রথম তিন ওয়ানডেতে তিনি ছিলেন অপরাজিত (৩৯*, ৭৫*, ৫৫*)। পরের বছর ভারত সফরে বেঙ্গালুরুতে অভিষেক টেস্টে খেলেন ১৫১ রানের স্মরণীয় ইনিংস। আবির্ভাবে এমন সাড়া জাগানোর পর ২০০৫ সালে বাদ পড়েন ফর্মে না থাকায়। তবে প্রবল প্রতাপে ফিরতে সময় লাগেনি তার। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্যারিয়ারে ১১৫ টেস্ট খেলে ৪৯.১০ গড়ে রান করেছেন ৮ হাজার ৬৪৩, সেঞ্চুরি ২৮টি। তার চেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরি আছে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে স্রেফ পাঁচজনের। ষষ্ঠ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন তিনি ২০১২ সালে। একই সিরিজে আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ ওই বছর তিনি মোট চারবার খেলেন দুইশ ছোঁয়া ইনিংস। টেস্ট ইতিহাসে এক পঞ্জিকাবর্ষে চারটি দ্বিশতকের একমাত্র কীর্তিও সেটি। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ব্যাটসম্যানও ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে দেশের মাঠে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ের পর রিকি পন্টিংকে সরিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া হয় ক্লার্ককে। তার নেতৃত্বে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠে দল। ২০১৩-১৪ অ্যাশেজে তার নেতৃত্বেই ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডেতেও ক্লার্ক ছিলেন সমান সফল। ২৪৫ ওয়ানডেতে ৪৪.৫৮ গড়ে প্রায় ৮ হাজার রান, ৮ সেঞ্চুরি ও ৫৮ ফিফটি তারই প্রমান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি রান আছে কেবল তিন জনের। ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের বাঁহাতি স্পিনও ছিল বেশ কার্যকর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯৪টি উইকেট নিয়েছেন। অভিষেক সিরিজে মুম্বাইয়ে মাত্র ৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন ২৫৩টি। ২০১৫ অ্যাশেজে হারার পর ৩৪ বছর বয়সে আচমকাই তিনি বিদায় জানান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। |