শিরোনাম |
গণহত্যার দায়ে আ. লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আনা দরকার: বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে অন্তর্র্বতী সরকারের ছয় মাস, বর্তমান রাষ্ট্র পরিস্থিতি এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে একটি লিখিত বক্তব্য দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়। জনগণ এখন বৈষম্যহীন, মানবিক মর্যাদাপূর্ণ ও ন্যায়বিচারভিত্তিক একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপির লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বিতাড়িত ও পরাজিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে। প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্রের সহায়তায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা এই তৎপরতা চালিয়ে যাবে। তাই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আনা প্রয়োজন। বিএনপির মতে, বর্তমান সরকার ছয় মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের আইনের আওতায় আনতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে উৎসাহিত হচ্ছে, যা দেশের ভাবমূর্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। বিএনপি আরও বলেছে, জনগণের প্রত্যাশা ছিল আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা ও নৈরাজ্যজনিত সমস্যাগুলো জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। বিএনপির দাবি, দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। বিএনপি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছে, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনের পতন ঘটেছে এবং সাংবিধানিকভাবে অন্তর্র্বতী সরকার গঠিত হয়েছে। তবে জনগণের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সরকার প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি মনে করে, নির্বাচিত সরকার না থাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অন্তর্র্বতী সরকারের সঙ্গে চুক্তি করতে দ্বিধান্বিত। এ ছাড়া, কিছু উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল গঠনের সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রশাসনে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপি দ্রুত মামলা প্রত্যাহার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং প্রশাসন থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণের দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি, অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে। |