শিরোনাম |
মাধবপুরে মাদকের অবাধ বাণিজ্য, নজরদারি নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() মাধবপুরে মাদকের অবাধ বাণিজ্য, নজরদারি নেই মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর, চৌমুহনী, বহরা, এবং অন্যান্য ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা ঘুরে মাদক চোরাচালানের এমন চিত্র সামনে এসেছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এক যুগ আগেও এই এলাকায় গরু, লবণ, চিনি, সাইকেল ও কাপড়ের মতো পণ্য পাচার হতো। কিন্তু লাভের কারণে এখন মাদক পাচারই প্রধান ব্যবসা, যার মধ্যে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, মদ এবং নেশাজাতীয় ইনজেকশন অন্তর্ভুক্ত। এসব পাচারের পাশাপাশি ভারতীয় মোবাইল ফোন এবং কসমেটিকসও পাচার করা হয়। এর ফলে মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বাড়ছে, পাশাপাশি অপরাধও বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ অনেক চোরাকারবারিকে আটক করেছে। মাধবপুর থানার তথ্য অনুযায়ী, মাদক পাচারের প্রধান রুটগুলো হচ্ছে মোহপুর, আলীনগর, কালিকাপুর, রামনগর, শ্রীধরপুর, বনগাঁও সীমান্ত। স্থানীয়দের মতে, অন্তত ১০০ জন ব্যক্তি মাদক চোরাচালানে যুক্ত, এবং তাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বয়সে ১৫-৩৫ বছরের মধ্যে। একজন মাদক পাচারকারী জানান, সীমান্তে 'লাইন ক্লিয়ার' সংকেত পাওয়ার পর তারা মাদক নিয়ে চলে যান। এক রাতে ১০০ বোতল ফেনসিডিল সংগ্রহ করলে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন হয়। এসব চোরাচালান প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে চলে। মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ. রাজ্জাক জানান, ২০২২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত পুলিশ অভিযানে ৪০৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার করেছে। তবে, সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন যে, মাদক পাচারকারীরা প্রভাবশালী এবং তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে বিপদে পড়ার আশঙ্কা থাকে। বিজিবি এবং পুলিশ দাবি করছে, তারা মাদক চোরাচালান রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে স্থানীয়দের বিশ্বাস, মাদক ব্যবসা চলছে তাদের চোখের সামনেই এবং মাদক পাচারকারীরা কোনো না কোনো ভাবে তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ বিষয়ে মাধবপুর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার নির্মেলন্দু চন্দ চক্রবর্তী বলেন, পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তৃণমূল পর্যায়ের সহযোগিতা প্রয়োজন। |