শিরোনাম |
পৃথিবীর যে স্থানগুলো দেখলে বিস্মিত হবেন আপনিও
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
দেশ বিদেশ ঘুরতে কার না ভালোলাগে। কোথাও না হোক পাহাড় হলে দার্জিলিং, সমুদ্র হলে কক্সবাজার বা কুয়াকাটা। মন খারাপ হলেই কোলাহল থেকে দূরে অচেনা জায়গায় চলে যেতে ইচ্ছা হয় সবার। যেখানে কেউ খুঁজে পাবে না, থাকা যাবে নিরিবিলিতে একান্তে। তবে এসবই তো হাতের নাগালে। পৃথিবীর এমন অনেক স্থান আছে যা সম্পর্কে জানলে বিস্মিত হবেন আপনি। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক এমনই কয়েকটি স্থানের নাম। ১. ডেড সি: মৃত সাগর নামটি শুনলেই হয়তো বুকটা যেন কেমন কেঁপে ওঠে। এই সাগরটি অবস্থিত সুদূর ইসরাইয়েলে। ডেড সি আসলে কোন সাগর নয়, লবণাক্ত জলের হ্রদ। এই হ্রদের জলে লবণাক্তের পরিমাণ ৩৪.২ শতাংশ, যা সাধারণ সমুদ্রের জলের চেয়ে ৮.৬ গুণ বেশি। এই হ্রদের জলে অত্যাধিক মাত্রায় লবণ হওয়ায় বিশেষ কয়েক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া ছাড়া আর কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব নেই। ২. পামুক্কেল: তুরস্কে অবস্থিত পামুক্কেল। নামটা একটু অদ্ভুত হলেও এটি হলো একটি গরম জলের ঝর্ণা। দক্ষিণ-পশ্চিম তুরস্কের মেন্দেরেজ নদীর উপত্যকায় অবস্থিত। পামুক্কেল তুরস্ক সহ সমগ্র পৃথিবীর অন্যতম সেরা আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। তুর্কি ভাষায় ‘পামুক্কেল’ শব্দটির অর্থ তুলোর প্রাসাদ। এই ঝর্ণার জল সবসময় গরম থাকার কারণে প্রাচীন কাল থেকেই এই ঝর্ণার জনপ্রিয়তা রয়েছে। ৩. জায়ান্টাস কজওয়ে: ইউনেস্কোর বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় নিজের নাম তালিকাভুক্ত করেছে আয়ারল্যান্ডের জায়ান্টাস কজওয়ে। এটি পৃথিবীর অন্যতম বিস্ময়কর দর্শনীয় স্থান, যা কিনা উত্তর আয়ারল্যান্ডের উত্তর তীরে অবস্থিত। এটি প্রায় চল্লিশ হাজার হেক্টগোনাল পাথরের কলামে তৈরি একটি প্রাকৃতিক ও প্রাচীন গুহা। এই শিলা বা পাথরগুলো প্রাচীন আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত দ্বারা তৈরি হয়েছিল। এই শিলাগুলোর আশ্চর্যকর ব্যাপার হলো- এগুলি বেশিরভাগ ষড়ভূজীও। ৪. ডেনসিয়া ল্যান্ডস্কেপ: ডেনসিয়া ল্যান্ডস্কেপ হলো একটি পাহাড়, যা কিনা অবস্থিত চীনের গানসুতে ঝাংয়ে ন্যাশনাল জিওপার্কে অবস্থিত। চীনের এই পাহাড়টি দেখতে বেশ রঙিন এবং নানা ধরনের স্তর বিশিষ্ট। এই পাহাড়ের পাথরগুলো ২৪ মিলিয়ন বছর ধরে জমা পড়ে আছে বলে, পাহাড়গুলো এমন রঙিন। রঙিন পাহাড় দেখার জন্য সারা বছরই ওই স্থানে ভিড় লেগেই থাকে পর্যটনদের। |