শিরোনাম |
শিশুর টিভি, ট্যাব, মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদিতে স্ক্রীন টাইম কেমন হওয়া উচিত
জীবনের রঙ :
|
একবিংশ শতাব্দীতে বেশিরভাগ পরিবারে এখন বাবা-মা দুজনেই চাকুরি করেন। সময়ের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ভাবনার ও পরিবর্তন এসেছে। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য, ঘরে বাইরে যেন সন্তান সবচেয়ে সেরাটাই পায় সে ব্যাপারে বাবা মায়ের চেষ্টার কোন কমতি নেই! এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারা। যার পরিনতি ই শিশুর স্ক্রীন টাইম, যা অনেক সময় অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায়। একটি শিশু যতক্ষন ডিভাইসে সময় কাটায় সেটাই তার স্ক্রীন টাইম। টিভি, ট্যাব, মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি যে কোন কিছুই হতে পারে শিশুর স্ক্রীন টাইমের উপাদান। বর্তমানে দেখা যায় শুধু কর্পোরেট বাবা মায়ের জন্য এটা চিন্তার বিষয় তা নয়। গৃহিনী মায়েরা সারাদিন বাসায় থাকছেন তাদের জন্য ও বটে। দেখা যায় সংসারে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে অনেক সময় বাচ্চাদের হাতে তুলে দিতে হয় বিভিন্ন ডিভাইস, যাতে শিশু কিছুক্ষন স্থির থাকে। বর্তমানে শিশুর ঘরের বাহিরে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ও মায়েরা করে ফেলছে তাদের ঘরবন্দী। আর এই বন্দী শিশুদের একমাত্র বিনোদন বা সময় কাটানোর উপায় হলো এসব ডিভাইস। কোন বয়সে কতক্ষন বিনোদন স্ক্রীন ব্যবহার করতে পারবে ? The
American Academy of Pediatrics এর মতে আট মাসের কম শিশুদের স্ক্রীন টাইম একদম ই অনুমোদন দেয়া উচিত নয়। আট থেকে চব্বিশ মাসের শিশু সুধুমাত্র তাদের বাবা মায়ের সাথে কিছু সময় স্ক্রীন টাইম শেয়ার করবে এবং সেটি হবে তার বয়সের উপযোগী কন্টেন্ট। ২-৫ বছর বয়সী শিশুদের ০১ ঘন্টা স্ক্রীন টাইম রাখা যেতে পারে এবং সেটা এডুকেশনাল প্রোগ্রাম। ০৬ কিংবা তার বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা মা সময় নির্দিষ্ট করে দেবেন এবং নজর রাখতে হবে যে সন্তান তার বাহিরে অন্য কোন ক্ষতিকর কন্টেন্ট দেখছে কি না! পরিশেষে বলা যেতে পারে যে, শিশুর উপর স্ক্রীন টাইমের ক্ষতিকর প্রভাব ব্যাপক। শিশুর সৃজনশীলতা বিকাশের পথে এটা অন্যতম অন্তরায়। তাই আমাদের উচিত শিশুর স্ক্রীন টাইম নিয়ন্ত্রন করা। জান্নাত আরা সহকারি শিক্ষক, ৪৩ নং তেজদাসকাঠী সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়, পিরোজপুর সদর, পিরোজপুর। |