শিরোনাম |
আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ স্কুল পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যেন স্বেচ্ছাচারিতা দুর্নীতি ও অনিয়মের কেন্দ্র গড়ে তোলে সরকারি ভবন বরাদ্দে স্কুল মানেজমেন্ট কমিটি সহ প্রথান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে,শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নানাভাবে অতিরিক্ত প্রি আদায় এবং ঠিকাদারের কাছ থেকে চাঁদাবাজি মিথ্যা বিল ভাউচার দাখিল করে নানা অনৈতিক কার্যক্রম প্রশাসন সহ ক্ষমতাসীন একটি দলের প্রচ্ছন্ন মদদে সংঘটিত হচ্ছে। গত ৫ই জুলাই ২০২৩ইং তারিখে কনস্ট্রাশন ফার্ম এম/স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের সাব কন্ট্যাক্টর মোঃ সাইদুর রহমান তার ফার্ম এম/স সাইদুর এন্টারপ্লেইজের পক্ষে আদমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরী করা নতুন অতিরিক্ত শ্রেণীকক্ষ,কমন স্পেস টয়লেট পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম কক্ষ বাবদ নির্মাণ এবং আরো দুইটি বকেয়া বিল দাখিল করতে গেলে কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তালুকদার, প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা বেগম মুহি স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি সদস্য মোঃআব্দুস শহিদ বকেয়া বিলের সাথে আরও ৫(লক্ষ)টাকা অতিরিক্ত বিল বাবদ যোগ করে মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে দাখিল করেত প্রস্তাব দেয়। যা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের। স্বভাবতই মোঃসাইদুর রহমান এই অনৈতিক কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং এটি করতে সরাসরি অস্বীকার করেন।তারেই ফলশ্রুতিতে মোঃসাইদুর রহমান সেই দিনই দেশীয় অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত স্থানীয় ছাত্রলীগ ক্যাডারদের বর্বর হামলার শিকার হন এবং কমলগঞ্জ উপজেলায় হেলথ কমপ্লেক্সে হেড ইনজুরি ও ফ্র্যাকচার সহ ১৬ দিন চিকিসাধীন ছিলাম তিনি। পরে এ বিষয়ে এম/স সাইদুর এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে সাধারণ ডাইরি করা হলেও দুর্নীতি পরায়ণ স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও দলীয় ক্ষমতাসীনদের প্রভাবে পুলিশ কোনো উল্লেখ যোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। এখানেই ঘটনার শেষ নয়,গত ২৫ শে আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে উপজেলা এডুকেশন ইন্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে বিল দাখিল করতে গেলে উল্টো মোঃ সাইদুর রহমানকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শরিফুল রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন,দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে মোঃ সাইদুর রহমানের সমস্ত বিলের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং শীঘ্রই তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি শাস্তিমূলক নোটিশ জারি করা হবে। এ সময় তিনি আরও জানান,কয়েকদিন আগে কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তালুকদার এসে প্রকৌশল অধিদপ্তেরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে গেছেন। এটা পরিষ্কার যে স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি দলীয় ক্ষমতাসীনদের প্রভাব ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাও এতে জড়িত সয়ংক্রীয় ভাবে জড়িত রয়েছেন ধারণা করা যাচ্ছে। গত ২৬ ই আগষ্ট ২০২০ইং অরিখে স্কুল মানেজমেন্ট কমিটি সদস্য আব্দুস শহিদ ভিক্টিম মোঃ সাইদুর রহমানকে মুঠোফোনে হুমকি দেন,পুলিশের নিকট সাধারণ ডাইরি করার জন্য এবং এর পরিণীতি ভালো হবে না বলে সতর্ক করে।জৈনিক মোঃসাইদুর রহমান কে আরো বিপদে ফেলার জন্য আসলাম ইকবাল মিলনের অফিস(প্রেসিডেন্ট উপজেলা আওয়ামী লীগ)থেকে ১০ (লক্ষ)টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। একপর্যায়ে উপর্যুপুরি হুমকি,সম্পদ হানি ও প্রান নাশের আশংকায় মোঃসাইদুর রহমান তার পরিবার সহ ঐ এলাকা ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে গত ১২ই নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে পুলিশ ভিক্টিমের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে এবং কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট সম্পর্কিত কাগজ পত্র জব্দ করেন। এ সময় তার অফিসের একাউন্টেন্ট,মোঃ রেজ্জাউল করিম চৌধুরীর নিকট মোঃ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে সার্চ ওয়ারেস্ট প্রদর্শন করে।এই সার্চ ওয়ারেন্টন্ট মূলত ভিক্টিমকে ভয় দেখানো ও সমাজে হেও প্রতিপর্ণ্য করার একটা হীন অপচেষ্টা মাত্র। মোঃসাইদুর রহমানের উপরে এরকম নির্জলা মিথ্যা অপবাদ হামলা হুমকি ও পুলিশ প্রশাসন সহ বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী ক্যডারদের দুর্নীতি,ক্ষমতা নিন্দা, অনৈতিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিফল।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো মহৎ জায়গায় এরকম শু-শাসন মেনে নেয়া যায় না। সমাজের সুনাগরিক হিসেবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনেই প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। |