শিরোনাম |
আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
কথায় আছে পেটে খেলে পিঠে সয়' বাংলাদেশের সাধারণ গরিব মানুষের পাতেও খাবার নেই,আবার তাদের পিঠেও সইতে হয়। তথাকথিত পুলিশ বাহিনী সেই স্বাধীনতার পর থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের হিসেব করলে একটা বিশ্ব কোষ রচনা করা যাবে। অপরদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক হিউম্যানিটেরিয়ান অর্গানিজশন গুলোর রিপোর্টে নজর বুলালে বিষয়টা পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যায়। জুলিয়া ব্লেকনের(সিনিয়র এশিয়া,রিসার্চার হিউম্যন রাইটস ওয়াচ)বাংলাদেশী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পর্কে প্রিল্যান্স রিপোর্টার ও কমলগঞ্জ উপজেলা দূর্নীতি কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম চৌধুরী এ সব মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন,মানবাধিকারের প্রতি সত্যিকারের অঙ্গীকার দেখানোর জন্য সরকারের একমাত্র উপায় হল,আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করা,যার মধ্যে গুরুতর হলো নিরাপত্তা বাহিনীর অপব্যবহারকে মোকাবেলা করা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সমালোচক এবং মানবাধিকারের হয়রানি সহ ক্ষমতার অপব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করা।চলমান গণ-রাজনৈতিক গ্রেপ্তার ও জোরপূর্বক গুম,বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং সমালোচকদের নির্যাতন বাংলাদেশ সরকারের 'সকলের জন্য মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকারকে অর্থহীন করে তুলেছেন। শুধু তা নয়,তিনি আরও বলেন,বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর স্বেচ্ছাচারিতা অনৈতিক কর্মকান্ড,অনিয়ম ও দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি, ঘুষ বানিজ্য,অবৈধ হত্যাকান্ড সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ইত্যাদি অনেক ধরেনর অপরাধের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত রয়েছে এদেশের পুলিশ বাহিনী।দেশের প্রত্যেকটি থানায় পারত পক্ষে সাধারণত কেউ সহজে যেতে চায়না,কারণ পুলিশ সাহায্য করবে কিনা তা নির্ভর করে ভিক্টিমের সামাজিক প্রতিপত্তি,পলিটিক্যাল ব্যাক রাউন্ড ও ক্ষমতাসীন দলের সাথে সু-সম্পর্কের উপর। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মন্তব্য করে বলেন, পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের সাম্প্রতিক অভিযোগ গুলির ব্যাপকতা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য দায়মুক্তির সংস্কৃতিকে নির্দেশ করে।এই ধরনের কাজের অন্তর্ভুক্ত মারধর, বৈদ্যুতিক শট,ওয়াটারবোর্ডিং ইচ্ছাকৃত ভাবে পঙ্গু করার জন্য শুটিং হাঁটু ক্যাপিং মৃত্যুদণ্ড, এবং জোরপূর্বক নগ্নতা।বল পূর্বক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।শ্রমিক সংগঠক,শহীদুল ইসলামের পুলিশি হত্যাকাণ্ড শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় ও সংস্কার প্রতিষ্ঠায়।এতে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতাকে স্পষ্ট করেছে। শুধু তা নয় এদেশের কতেক সিনিয়র আইনজীবীগন বলছেন,বাংলাদেশের পুলিশ প্রায়ই রিপোর্ট দিতে অস্বীকার করে বা বছরের পর বছর ধরে খোলা তদন্তে মামলা ছেড়ে দেন।আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা নিয়মিত বিচারবহির্ভূত হত্যা জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতন করে আসছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যারা এই লঙ্ঘনের সাথে জড়িত তাদের পদোন্নতি এবং পুরষ্কৃত ঘোষণা অব্যাহত রেখেছেন।একজন সৎ দেশ প্রেমিক ও সচেতন নাগরিক হিসাবে আমি এ ব্যাপারে সুশীল সমাজের শিক্ষিত সচেতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। |