শিরোনাম |
সকালের নাস্তায় থাকবে যেসব স্বাস্থ্যকর খাবার
লাইফস্টাইল ডেস্ক:
|
সারাদিন সুস্থ থাকতে চাইলে সকালের নাশতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সকাল হচ্ছে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই সকালটা শুরু করতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার দিয়ে। তবে মনে রাখতে হবে সকালে এক গামলা ভারী খাবার খেলেই হবে না। খাবার হতে হবে স্বাস্থ্যকর।অনেককেই দেখা যায় সকালের খাবারেই অবহেলা করেন বেশি। কিন্তু সেটা করা যাবে না। তাতে শরীরে নানান রোগ ব্যাধী বাসা বাধতে পারে। তাই সকালের খাবার হতে হবে ভারি ও স্বাস্থ্যকর। আসুন জেনে নেই সকালের নাশতার জন্য স্বাস্থ্যকর কিছু খাবারের নাম। রুটি: সকালের নাশতার জন্য বেশ ভালো একটি খাবার হচ্ছে রুটি। আটার রুটি সঙ্গে সবজি, ডিম অথবা ঝোলের তরকারি কিংবা কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। ডিম: প্রত্যেকটা মানুষের দিনে একটা ডিম খাওয়া উচিত। কারণ ডিমকে বলা হয় সুপারফুড। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ফোলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজ ও মিনারেল। এছাড়া প্রোটিনের ভাণ্ডারও বলা হয়ে থাকে ডিমকে। ডিমে থাকা প্রোটিন পেশীর বৃদ্ধি এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অপরিহার্য। এছাড়া কুসুমে থাকা লুটেইন এবং জেক্সানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখ, ত্বক ও কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ওটমিল: সারাদিনের এনার্জি পেতে ওটমিল খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটসের জুড়ি নেই। তাই সকালের খাবারে রাখতে পারেন এক বাটি ওটস। মাখানা: পদ্মফুলের বীজ, ফক্স নাট বা মাখানা প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই মাখানা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস। শুকনো খোলায় ভাজা মাখানার উপর সামান্য ঘি, গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে খেলে সকালের নাস্তা হিসেবে বেশ স্বাস্থ্যকর হবে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে হাড় গঠনে এটি ভূমিকা রাখে। এমনকি শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে এই মাখানা। তাই সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন মাখানা। চিয়া সিড: বীজ জাতীয় যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। চিয়া সিডকে বলা হয় সুপারফুড। এতে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা যারা ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ব্যায়ামের ১ ঘণ্টা পর চিয়া সিড খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এটি শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করাসহ ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে। দই: দিনের শুরুটা দই দিয়ে শুরু হোক অনেকেই তা চান না। কিন্তু দই দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী একটি খাবার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড়ের গঠনে কাজ করে। দিনের শুরু দই দিয়ে করলে পুরো দিন আপনার দেহে থাকবে অফুরন্ত এনার্জি। ক্লান্তি স্পর্শ করবে না দিনের শেষেও। সুতরাং সকালের নাস্তায় খাবারের পাশাপাশি দই রাখা ভালো। তবে সকালের নাশতায় শুধুমাত্র দই খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। কাঠবাদাম: ভিটামিন ও খনিজে ভরা কাঠবাদাম পানিতে ভেজালে পুষ্টিগুণ অনেক বেড়ে যায়। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজন কমাতে কার্যকরী। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর সকালে ৫-১০টি কাঠবাদাম খেলে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি সারাদিন রুচিও বাড়ায়। ফল: সকালের নাশতা রাখতে পারেন ফল। তবে সব ধরণের ফল যেমন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া যাবে না। কলা, আপেল, পেয়ারা, কমলা অথবা মৌসুমি ফল দিয়ে সকালের নাস্তা করা সব চাইতে ভালো। বিভিন্ন রোগপ্রতিরোধে ও ওজন কমাতে আঁশজাতীয় খাবার প্রয়োজন। তাই একটি স্বাস্থ্যকর নাশতায় ফল অন্যতম। চাইলে ফলমূল দিয়ে সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন। |