শিরোনাম |
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তার নিজ দলীয় নেতাকর্মী সহ আওয়ামী লীগ অভিযোগ তুলছেন চাঁদাবাজির। তবে সেই অভিযোগগুলো বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন উপজেলার সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হক। এ বিষয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে । তবে সেই প্রকাশিত সংবাদের কোন সত্যতা নেই বলে জোর দাবি জানান সভাপতি। গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক দেশ তথ্য, থানা বিএনপি'র সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, ৫ আগস্ট এর পর কিনেছেন অর্ধ কোটির গাড়ি শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। সেখানে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ সহ তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন বলে দাবি করা হয়। আমলা সদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহাজ্জেল হোসেন এর কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা, বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফারের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা, আমলা সদরপুর কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক মাসুম আল মাঝির কাছ থেকে চাদা দাবি। আমলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বর্তমান মেম্বার রমজান আলীর কাছ থেকে ২ লক্ষ, দিশা এনজিও সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসীদের কাছ থেকে চাদা আদায়ের অভিযোগ তুলে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। অথচ সরজমিনে তথ্য সংগ্রহ ও উল্লেখিত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায় সবগুলো অভিযোগই মিথ্যা। এবং যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের নামের বানানের অনেক গরমিলও পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা নিজেরাই বলেন। যে সংবাদটি দেশ তথ্য পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের কোন প্রকার কথা হয়নি এমনকি দেখাও হয়নি এ বিষয়ে আমরা কোন কিছু জানিও না। এবং হক সাহেবের বিরুদ্ধে যে সব চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা। আমাদের কাছে তিনি কোন চাঁদা দাবি করেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হক বলেন কোন কিছু না জেনে না শুনে আমার নামে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে দলে বিতর্কিত করার জন্য এসব মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। যার কোন ভিত্তি নেই। তিনি আরো বলেন আমলা সদরপুর জাহানারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যেটার সত্যতা প্রমাণ করতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। তবে যারা এ ধরনের মিথ্যাচার করছেন তাদেরকে আমি হুঁশিয়ার করে দিতে চাই এমন মিথ্যাচার করে যদি আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। |