শিরোনাম |
পাট, বস্ত্র এবং জাহাজ শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের আহবান নৌপরিবহন উপদেষ্টার
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক:
|
পাট, বস্ত্র ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি আজ সোমবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) মিস হেলেন লাফেভ এর সাথে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রীর বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব সোনালী ব্যাগ ও জুট জিও টেক্সটাইল বহুমুখী পাটপণ্য উদ্ভাবনের ফলে দেশে-বিদেশে পাটের ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ২৮২ ধরণের বৈচিত্র্যময় ও আকর্ষণীয় পাটজাত দ্রব্য উৎপাদিত হচ্ছে। এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় একটি খাত উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত শিল্পে বিনিয়োগ করার আহবান জানান। নৌপরিবহন উপদেষ্টা দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের ডকইয়ার্ড নির্মাণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারিগরি সহায়তা কামনা করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরসহ দেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আইওএম এর সি ক্যাটাগরির একটি সদস্য রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলো থেকে অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী নাবিক তৈরি করা হচ্ছে, যারা অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে আন্তর্জাতিক শিপিং পরিচালনা করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসছে। মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্টসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ব্যবসা বাণিজ্য ও অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দীর্ঘদিন যাবত নিবিড়ভাবে কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য ঘাটতি দূরীকরণে যুক্তরাষ্ট্র আগামীতে আরো ঘনিষ্ঠভাবে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। এ সময়ে তিনি বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত তৈরির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) সঞ্জয় কুমার বণিকসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। |