শিরোনাম |
মাস্তুল যাকাত সাবলম্বী প্রকল্পের আওতায় ৯০ জন দরিদ্র পরিবারের জীবন বদল
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
মাস্তুল যাকাত সাবলম্বী প্রকল্পের অর্থায়নে এবং আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশনের তত্তাবধনে ৯০ টি দরিদ্র পরিবারকে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির করার সুযোগ করে দিয়েছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশন যাকাত তহবিলের অর্থ ব্যবহার করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে । গত ২৯ সেপ্টেম্বর (রবিবার) মাস্তুল ফাউন্ডেশন তাদের "যাকাত স্বাবলম্বী প্রকল্পের" আওতায় ৯০ জন অসহায় সুবিধাভোগীর মাঝে ৯ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। উক্ত প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত ৯০ জন ব্যক্তি যারা কিনা ক্ষুদ্র ব্যাবসায় করেন কিন্তু টাকার অভাবে ব্যাবসায় বিনিয়োগ করতে পারছে না তাদের যাকাত স্বাবলম্বী প্রকল্পের আওতায় ব্যাবসায় বৃহৎ পরিসরে করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য সমাজের দরিদ্রতা মোচন। মাস্তুল ফাউন্ডেশন বিশ্বাস করে যে, শুধু অর্থ প্রদানের মাধ্যমেই দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব নয়, বরং তাদের স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করাই আসল উদ্দেশ্য। "যাকাত স্বাবলম্বী প্রকল্প" অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাস্তুল ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক কাজী রিয়াজ রহমান সহ ঢাকার হাজারিবাগ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। মাস্তুল ফাউন্ডেশন এর অপারেশন হেড কাজী রায়হান রহমান বলেন- স্বাবলম্বীর আওতায় দেশের প্রতিটি জেলায় গড়ে উঠবে কর্মসংস্থান। দেশের সাধারন মানুষ মাস্তুলকে বিশ্বাস করে এবং তাঁদের যাকাত/সাদাকার অর্থ আমাদের নিকট তুলে দেয়। আমরা ইসলামের বিধি মোতাবেক সেই অর্থ দিয়ে যাকাত/সাদাকা গ্রহনের উপযুক্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করার চেষ্টা করি। তিনি আরোও বলেন, যাকাত স্বাবলম্বী প্রকল্পের মাধ্যমে আগামীতে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। যাকাত স্বাবলম্বী প্রকল্প প্রোগ্রামে উপস্থিত একজন সুবিধাভোগী রুনু মিয়া বলেন- “এই বয়সে কাধে মুড়ির টুল নিয়া ঝালমুড়ি বেচি, অনেক দিন ধইরা একটা গাড়ি কিনতে চাইছিলাম মুড়ির লগে অন্য কিছু বেচমু, এহন এই বিনিয়োগ দিয়া আমি ব্যাবসা বড় করতে পারমু। কত মাইনষের দারে দারে ঘুরছি টাকা পাই নাই। আজকে মনে হইতাছে আমার পরিবারকে আমি ভালো রাখতে পারমু”। উল্লেখ, এ সকল কার্যক্রমে মাস্তুল ফাউন্ডেশন এর সাথে সহযোগী পার্টনার হিসাবে কাজ করছে আল যাকাত-সাদাকা ফাউন্ডেশন। মাস্তুল ফাউন্ডেশন ও আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশন বন্যা কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত ১০০০ কৃষক ও খামার ব্যাবসায়ীদের জন্য যাকাত স্বাবলম্বী প্রকল্পের আওতায় ফসলের বীজ, গরু-ছাগল, হাস-মুরগী মাছের পোনা এবং অনান্য সহযোগিতার মাধ্যমে পুনরায় সাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশন বহুমুখী সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে নিজস্ব স্কুল, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও বৃদ্ধআশ্রম যেখানে শতাধিক পিতামাতাহীন অনাথ/এয়াতিম শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ- বৃদ্ধা বসবাস করেন। এর বাহিরে কয়েক জেলায় প্রজেক্ট স্কুলগুলোতে হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষার উপকরন দেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদা নিশ্চয়তা করা হচ্ছে। এছাড়া চিকিৎসা খাতে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে 'মাস্তুল এইড' প্রকল্পের মাধ্যমে অর্ধশতাধিকের অধিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অসচ্ছল পঙ্গুত্ববরণকারী রোগীদের চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি হুইলচেয়ার ও কৃত্রিম পা দিয়ে সাবলম্বী করছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষন কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এর বাহিরে যাকাত স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে ১০০০ জনের বেশি মানুষকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। মাস্তুলের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে দাফন-কাফন সেবা প্রজেক্ট, যার মাধ্যমে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০০ এর অধিক লাশ দাফন হয়েছে। রয়েছে মাস্তুল মেহমানখানা, যেখান থেকে শতাধিক অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের একবেলা পেট পুড়ে খাওয়ার ব্যাবস্থা হয়। |