শিরোনাম |
‘শারীরিক উচ্চতায় আমরা পিছিয়ে থাকি’
খেলা ডেস্ক:
|
সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী দলের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার সংবাদমাধ্যমকে পেয়ে খুব জোর দিয়ে একটা কথা বললেন, ‘তোমরা এক জনের কথা কেউ বলনি। এটা ভালো যে, সাফের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে কথা বেশি হবে। কিন্তু দলের আরো কিছু ফুটবলার থাকেন, যাদের কথা আলাদা করে বলতে হয়।’ প্রশ্নটা ছিল সাফে কোন ফুটবলার কোচের চোখে লেগে আছে? তখনই পিটার বাটলার ভিড়ের মধ্যে একজনকে তুলে আনেন। আফিদা খন্দকার প্রান্তি। ‘তোমরা কেউ তার কথা বলনি। এই ফুটবলার দলের জন্য দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। পুরো গ্রুপের মধ্যে রক পারফরম্যান্স করেছে।’ চমৎকার লেগেছে-বললেন পিটার বাটলার। সংবাদমাধ্যমকে আফিদা খন্দকার প্রান্তির নামটা সবার মনে গেঁথে যাওয়ার মতো করে তুলে আনলেন পিটার। কারণও আছে। গত সাফে স্টপারব্যাক হিসেবে পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন আঁখি খাতুন। তার শারীরিক উচ্চতার সঙ্গে লড়াই করে ভারত, পাকিস্তানের ফুটবলাদের পেরে ওঠা খুব সহজ ছিল না। আঁখি চীনে যাবে বলে জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তার জায়গাটা শূন্য হয়ে যায়। জাতীয় নারী দলের রক্ষণভাগ ফাঁকা হয়ে যায়। কে দায়িত্ব পালন করবেন এমন একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল ফুটবল অঙ্গনে। কিন্তু বাফুফের একাডেমির ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার নারী দলের দায়িত্ব গ্রহণের পর আফিদার ওপর আস্থা রাখেন। তাকে সিনিয়র জাতীয় দলের রক্ষণভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সুযোগটা দেশের জন্য কাজে লাগিয়েছেন আফিদা। সাতক্ষীরার মেয়ে আফিদার খেলা পিটারের মনে ধরেছে। প্রতিপক্ষকে কীভাবে সামাল দিয়েছেন তা কোচ পিটার উপলব্ধি করেছেন। আফিদাকে নিয়ে পিটার বলেছেন, ‘তার পিটার প্রশংসা করেছেন ঋতুপর্না চাকমার খেলা। পিটারের চোখে ঋতুপর্না বেশ কৌশলী, দক্ষ এবং নজরকাড়া ফুটবল খেলেছে। একই কথা বলতে হয় মনিকা চাকমাকে নিয়ে। তবে আফিদার কথা আমি একটু বেশি-ই বলব। কারণ সে যতটা ভালো খেলেছে সেই অনুযায়ী প্রাপ্য ক্রেডিট সে পায়নি।’ আফিদা বলেন, ‘কোচ যেটা বলেছেন সেটা তার ব্যাপার। আমার টার্গেট ছিল সুযোগ পাব, কাজে লাগাব। আঁখি আপুর জায়গাটা যেন ভরাট করতে পারি। ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ১-০তে এগিয়ে থাকার পর পরই গোল হজম করে বাংলাদেশ। রক্ষণভাগের আরেক ফুটবলার মাসুরা পারভিনের চোখের সামনে বল গোলে পরিণত হয়েছিল। গোলের উল্লাসে ফেটে পড়ে নেপালের দর্শক। সেই উল্লাস কাজে লাগান বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ফাইনালে নামার আগে পরিকল্পনা ছিল দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভরা দর্শক যখনই চিৎকার করবে, সেটি আমাদের বাংলাদেশের জন্য করা হচ্ছে। এমন মানসিকতায় নিজেদের প্রস্তুত করেছিলেন বলে জানান আফিদা। তিনি বলেন, ‘ফাইনালের আগে আমাদের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেছিলেন, আমাদের নামের আগে সাফ চ্যাম্পিয়ন লেখা আছে। এবার ফাইনালে জিতলে তোমরাও সাফ শিরোপার দেখা পাবে।’ আফিদার কষ্টের জায়গাটা হচ্ছে বিদেশি দলগুলোর খেলোয়াড়দের সঙ্গে শারীরিক উচ্চতায় বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকে। বিশেষ করে স্ট্রাইকাররা। এটা নিয়ে আফিদা বলেন, ‘পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের চেয়ে আমরা পিছিয়ে থাকি, এমনকি জাপানের খেলোয়াড়দের চেয়েও আমরা পিছিয়ে থাকি। বিশেষ করে শারীরিকভাবে পিছিয়ে আছেন আমাদের স্ট্রাইকাররা।’ |