শিরোনাম |
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জমিনের বিরোধের জের ধরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক,নোয়াখালী:
|
![]() নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জমিনের বিরোধের জের ধরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ওই সময় তাদের শোর চিৎকারে হার্টের রোগী বাবুল কিছুটা অসুস্থতা অনুভব হলে সে মাটিতে বসে যান। খবর পেয়ে মুন্না বাজার থেকে ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ করলে তাকে বেদম মারধর করে বাবুলের ছেলেরা সহ তাদের লোকজন। এসময় স্থানীয়রা মুন্নাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ ফর বাবুলের স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আব্দুল মান্নান মুন্না ও তার স্ত্রী মুন্নি আক্তার আরও অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন থেকে বাবুল ও স্বপনরা মুন্নাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় মুন্না বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই ঘটনার পর গতকাল রাতে বাবুলের ছেলে নুরুল আমিন স্বপন এর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল মুন্নাদের বসত ঘরে হামলা চালায়। এ সময় তারা ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে তাদের দাবি। প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় নজরুল ইসলাম জানান ঘটনার সময় বাবুলদের লোকজনের শোর চিৎকারে হার্টের রোগী বাবুল কিছুটা অসুস্থতা অনুভব হলে সে মাটিতে বসে যান। খবর পেয়ে মুন্না বাজার থেকে ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ করলে তাকে বেদম মারধর করে বাবুলের লোকজন। এসময় স্থানীয়রা মুন্নাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ ফর বাবুলের স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার সময় তিনি ঘটনার চিত্র মোবাইল ফোনে দারন করেছেন। বাবুলের ছেলে স্বপন বিষয়টি দেখে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় জায়গার মালিক মুন্না ঘটনাস্থলে ছিলেন না। বাবুলের ছেলে নুরুল আমিন স্বপন অভিযোগ করেন ঘটনাস্থলে তার বাবা বাবুল গেলে মুন্নাদের আঘাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তার বাবা নুরুল হক বাবুলকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বপনের দাবী মুন্নারা তার বাবাকে হত্যা করেছে। বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী জাকারিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা হয়। প্রাথমিক ভাবে নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহৃ পাওয়া যায়নি। বেগমঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, নিহত বাবুল হার্টের রোগী ছিলেন। তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন ছিলনা। এই ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মামলার বাদী নিহতের ছেলে। তবে মরদেহ ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। |