শিরোনাম |
আবেগঘন বিদায়ী বার্তায় বন্ধু সাকিবকে কেন টানলেন তামিম?
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() আবেগঘন বিদায়ী বার্তায় বন্ধু সাকিবকে কেন টানলেন তামিম? তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের বন্ধুত্ব নিয়ে এক সময় চর্চা হতো বিশ্বজুড়ে। তাদের সম্পর্কেও ফাটল ধরেছে অনেক আগেই। দুজন এখন ভিন্ন গন্তব্যে। তামিম ইকবাল তো জাতীয় দল থেকেই অবসর নিয়েছেন। আর সাকিব অবসর না নিলেও রাজনৈতিক করণে খেলতে পারছেন না নিজ দেশের হয়ে। বিপিএল ফাইনালের দিন তামিমকে তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের জন্য সম্মানিত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। সেখানেই বন্ধু সাকিবকে স্মরণ করেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনার ও ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল খান। তিনি বলেন, ‘তামিমিয়ান, সাকিবিয়ান, মাশরাফিয়ান বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশের সমর্থক।’ নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ভক্ত হওয়ার বিষয়টা যে দলের ক্রিকেটের ক্ষতির কারণ হয়েছে, সেটাও লুকাননি তামিম। তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছে। এসব জিনিস তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে! দয়া করে এটা বন্ধ করুন!’ দেশের সর্বকালের সেরা এই ওপেনার আরও বলেন, ‘আপনি আমার ভক্ত হতে পারেন, আপনি সাকিবের ভক্ত হতে পারেন, আপনি মাশরাফির ভক্ত হতে পারেন কিন্তু দল যখন খেলে তখন বাংলাদেশের ভক্ত হন।’ ‘দয়া করে তরুণ দলকে সমর্থন করুন, তারা ভুল করবে। তবে দয়া করে তাদের সমর্থন করুন, এটি আপনার দল। দয়া করে একসাথে থাকুন।’ সাকিব আল হাসান এক সময় বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন। কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনার দলের সাথে যুক্ত হয়ে তিনি হারিয়েছেন নিজের অস্তিত্ব সম্মান আর ভক্তদের। হাসিনার গণঅভ্যুাত্থানের সময়ও তিনি চুপ ছিলেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে তার সাবেক বন্ধু তামিম ইকবালকে দল থেকে ছেঁটে ফেলার যে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো তাতেও সামিল ছিলেন সাকিব। এমনকি তামিমকে নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেও সেসময় মিডিয়ার সামনে কথা বলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। তামিমকে দলে না রাখার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন সাকিব এমনটিই মনে করেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তামিম ইতি টেনেছেন তার দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের। তার বিদায়ী সংবর্ধনায় তিনি ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি তার ভক্ত সমর্থকদের। ২৩ এর বিশ্বকাপে যারা খেলতে দেয়নি দেশের এই জীবন্ত কিংবদন্তিকে তারা আজ হারিয়ে গেছে, কোথাও নেই ক্রিকেট বোর্ড কাঁপানো সেই পাপন বা সাকিব আল হাসানের কেউই। |