শিরোনাম |
আলোচিত খুলনার এসআই শাহ আলমের ৭ বছরের কারাদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() আলোচিত খুলনার এসআই শাহ আলমের ৭ বছরের কারাদণ্ড রোববার (২৩ মার্চ) খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এসআই শাহ আলমের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করেন। ২০০৯ সালে খুলনার খালিশপুর এলাকায় মিল্কি আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মালিক মাসুদ হাসানের বাসার গৃহকর্মী সীমাকে হত্যার ঘটনা সাজানোর মাধ্যমে শাহ আলমের দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। তিনি ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ঘুষের দাবিতে সীমার হত্যার নাটক তৈরি করেন, যা পরে ধরা পড়ে। ঘটনাটি ২০০৯ সালে শুরু হয়, যখন সীমা নিখোঁজ হয়ে যায় এবং তার মা সুফিয়া বেগম খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। শাহ আলম তদন্তের সময় ঘুষের জন্য চাপ সৃষ্টি করে, কিন্তু ঘুষ না পাওয়ায় হত্যার নাটক সাজান। তিনি একটি অজ্ঞাত নারীর মরদেহকে সীমার মরদেহ বলে দাবি করেন এবং মামলায় জড়িত ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালান। পরে সীমা জীবিত উদ্ধার হয়। ২০১৫ সালে এই ঘটনায় দুদক মামলা দায়ের করে, যার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। শাহ আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া, তদন্তের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সীমাকে হত্যার নাটক সাজানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। আদালত তার বিরুদ্ধে দুটি ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার পর শাহ আলমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই রায় একটি বড় উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে, যা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য সতর্কবার্তা হতে পারে। এ মামলার রায় দেশের আইনি ব্যবস্থায় বিশ্বাস স্থাপন বাড়াতে সাহায্য করবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের জন্য উৎসাহিত করবে। |