শিরোনাম |
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি, সরকারের সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য টানা ৯ ![]() ৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি, সরকারের সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৩ এপ্রিলের ছুটি সংক্রান্ত প্রস্তাব গত ২০ মার্চ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়। এরপর ২৩ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ (সোমবার) অথবা ১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে ৩১ মার্চ ঈদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। এ কারণেই সরকার আগে থেকেই ছুটির সময়সূচি নির্ধারণ করেছে। এবারের ঈদের ছুটি শুরু হবে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটির মাধ্যমে। ২৭ মার্চ অফিস খোলা থাকবে। এরপর ২৮ মার্চ শবে কদরের ছুটি। ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের মূল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর ৩ এপ্রিল একদিন অফিস খোলা থাকার পর ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। এই হিসাবে, ১১ দিনের মধ্যে মাত্র দু’দিন অফিস খোলা থাকবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী, মাঝখানের কর্মদিবসে ছুটি নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, তাই কেউ চাইলে টানা ছুটি নিতে পারবেন না। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ছুটিকালীন সময়ে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি সরবরাহ, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা, ডাক সেবা, হাসপাতাল, চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। ঈদ উপলক্ষে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। এছাড়া সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ছুটি তিনদিন নির্ধারণ করা হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন হতে পারে। সরকারি ছুটির এই ঘোষণার ফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে থাকা মানুষজন সহজেই গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারবেন। প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে রেল, সড়ক ও নৌপথে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তাই সরকারের পক্ষ থেকে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এত দীর্ঘ সময়ের ছুটি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য স্বস্তির হলেও, বেসরকারি কর্মজীবীদের জন্য ছুটির বিষয়টি নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর। তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে, সর্বাধিক সংখ্যক কর্মী যাতে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সে বিষয়টিই মূল বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এই ছুটির ফলে শহরগুলোতে যানজট কমার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে পরিবহন ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে যাত্রীরা কোনো ধরনের দুর্ভোগ ছাড়াই তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন। |