শিরোনাম |
মাস্তুল ফাউন্ডেশনের চ্যারিটি ইফতারের মেহমান ধর্ম উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() মাস্তুল ফাউন্ডেশনের চ্যারিটি ইফতারের মেহমান ধর্ম উপদেষ্টা ইফতারের মাধ্যমে তাদের মানসিক বিকাশে সহায়তা এবং তাদের জীবনমানের উন্নতি করার পাশাপাশি সমাজে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি করা। মাস্তুল ফাউন্ডেশন ও আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ২১শে মার্চ ইফতারের আয়োজন করা যার মূল লক্ষ্য সমাজের সকল শিশুদের ভালো ভাবে বাচার অধিকার রয়েছে এবং এতিম শিশুদের মানসিক বিকাশ বৃধি। গত ১ যুগ ধরে মাস্তুল ফাউন্ডেশন সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কাজ করে আসছে। বর্তমানে শিশুদের পাশাপাশি, বৃদ্ধদেরনিয়েও কাজ করে আসছে। ডেশের গন্ডি পেরয়ে জাগা বাসীদেরও সহোযোগীতা করে আসছে। ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, মাস্তুল ফাউন্ডেশন এর দাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। প্রধান অতিথি মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এই প্রসনগে বলেন- মাস্তুল ফাউন্ডেশন সমাজবান্ধব যে কাজগুলো করছে এই কর্মসূচিগুলো দেখে আমার ভালো লেগেছে এছাড়াও আমি অভিভূত হয়েছি তারা দেশের মাটি পেরিয়ে বিদেশের মাটি গাজাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে মাস্তুল ফাউন্ডেশনও অনেক ভালো কাজ করছে। আপনাদের যাকাত সাদাকার অর্থ বিশ্বস্ততার সাথে মাস্তুল ফাউন্ডেশন কে প্রদান করতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের বরকত ম্যাম জীবন দান করুন। মাস্তুল ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, “আমাদের সকল কার্যক্রম শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। সমাজে কোনো শিশু যেন অবহেলিত ও ঝড়ে পড়া না হয়, এ জন্য আমাদের সবার সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, একে অপরের সাহায্যে আমরা সমাজের এতিম ও অসহায় শিশুদের একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ উপহার দিতে পারি। এ সম্মেলনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল আল যাকাত সাদাকা ফাউন্ডেশন, আল মিনারাত ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এবং রেডি বাংলাদেশসহ অনেকেই। মাস্তুল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত দাতব্য প্রতিষ্ঠান। মাস্তুলের রয়েছে নিজস্ব স্কুল, মাদ্রাসা এবং শেল্টারহোম যেখানে আবাসিক/অনাবাসিক মিলে শতাধিক পিতামাতাহীন/ অনাথ/ এয়াতিম শিক্ষার্থী রয়েছে । এর বাহিরে কয়েক জেলায় প্রজেক্ট স্কুলগুলোতে হাজারের অধিক সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল শিক্ষার উপকরন দেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, পুষ্টিকর খাবার, শিশু অধিকার, মৌলিক চাহিদা নিশ্চয়তা করা হচ্ছে। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের রয়েছে সেলাই প্রশিক্ষন কেন্দ্র, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম করে তোলা হচ্ছে। এর বাহিরে যাকাত স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে ১০০০ জনকে স্বাবলম্বী করে তোলা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে দাফন-কাফন সেবা প্রজেক্ট, যার মাধ্যমে করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩০০০ এর অধিক লাশ দাফন হয়েছে। রয়েছে মাস্তুল মেহমানখানা, যেখান থেকে শতাধিক অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের একবেলা পেট পুড়ে খাওয়ার ব্যাবস্থা হয়। |