শিরোনাম |
সৈয়দপুর রেলকারখানায় মেরামত শেষে ১৬৭ কোচ হস্তান্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() ঈদযাত্রায় যাত্রী সেবা দিতে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলকারখানায় মেরামত করা হয়েছে ১৬৭ কোচ।রেলওয়ে কারখানার প্রতিটি শপে তীব্র জনবল সংকটেও শ্রমিক-কর্মচারীরা অতিরিক্ত কাজ করেছে ফলে দুটি স্পেশাল ট্রেনসহ প্রতিটি আন্তনগর ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়া হয়েছে ঈদুল ফিতরে অধিক সংখ্যক যাত্রী পরিবহনকে সামনে রেখে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ১৬৭ টি রেল কোচ মেরামত শেষে রেলওয়ে পরিবহন বিভাগের কাছে এরই মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে কারখানাটির ক্যারেজ শপে (উপ-কারখানা) জরাজীর্ণ কোচগুলো থেকে সেঁটে ফেলা হয়ে মরিচা ধরা ইস্পাত অংশ। সে সাথে কোচে নতুন আসন স্থাপন ও আভ্যন্তরীণ অঙ্গসজ্জার কাজ শেষ । ঈদকে সামনে রেখে কেবল ক্যারেজ শপ নয়, পেইন্ট শপ, বগি শপ, হেভি রিপিয়ারিং শপ, মেশিন শপসহ ২৮টি উপ-কারখানা কর্মমুখর ছিলো । সূত্র জানায়, ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় রেলওয়ে কারখানায় ২ হাজার ৮৫৯টি শ্রমিক-কর্মচারীর পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৭০৭ জন। নতুন নিয়োগ না থাকায় কারখানাটিতে লোকবল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে করে কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবুও মাত্র ২৫ শতাংশ জনবল নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রেলওয়ে কারখানাটি। রেলওয়ে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, আমাদের লোকবল সংকট থাকলেও ঈদে যাত্রীসেবা দেওয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তাই অতিরিক্ত কাজ করেছি। এতে অতিরিক্ত শ্রম হলেও ঈদের যাত্রী পরিবহন করতে পারবো এ নিয়ে সন্তুষ্ট। ঈদে যাতে ঘরমুখী যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে পারেন তার জন্য আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করেছি । এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মব্যবস্থাপক মোঃ মমতাজুল ইসলাম জানান, অনেক পরিশ্রম ও চেষ্টা করে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কর্মচারীরা ১৬৭ কোচ সাধারণ মেরামত ও বিশেষ মেরামত করে আইউটার্ন দিয়েছে ফলে ঢাকা মুখি বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজিত হবে কোচ গুলো এর ফলে অনেক যাত্রী তাদের গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে পারবে। এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ১২০ টি কোচ মেরামত এর কাজ হাতে নেওয়া হয় এবং ডিবিশন এর চাহিদার আলোকে ছোটখাটো আরো ৪৭ টি কোচ মেরামত করা হয় সবমিলিয়ে সব কোচ মেরামত শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। |