শিরোনাম |
কেউ এসেছেন ‘টাইম পাস’ করতে, কেউ ফিলিস্তিনের টানে
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() কেউ এসেছেন ‘টাইম পাস’ করতে, কেউ ফিলিস্তিনের টানে কিন্তু সব ম্যাচ তো আর এক রকম উত্তেজনা কিংবা রোমাঞ্চের নয়। বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্ট তাই শেষ পর্যন্ত দেখাতে হচ্ছে বিটিভিকে। স্বাভাবিকভাবেই এমন ম্যাচে গ্যালারিতেও দর্শকের সংখ্যাটা কম। নিরাপত্তা কিংবা নানা দায়িত্বের বাইরে শুধুই দর্শকের সংখ্যাটা কত? চাইলে গুণে নেওয়া সম্ভব এমন। কিন্তু তাঁরাই–বা কেন এলেন? কৌতূহল মেটাতে গ্যালারিতে গিয়ে জানা গেল নানা রকম সব গল্প। মেহেদী হাসান নামের কুয়েতপ্রবাসী এক দর্শককে দেখা গেল মনোযোগ দিয়ে খেলা দেখতে। তাঁর সঙ্গে কেউ নেই, এসেছেন একা। কথায় কথায় জানালেন, কুয়েত থেকে কয়েক মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছেন। এ সময়টা তাঁর কাটছে অবসরে। স্মৃতি রোমন্থন করে মেহেদী ফিরে গেলেন ২০১৮ সালে। চাচার সঙ্গে সিলেটেই বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্ট দেখেছিলেন তখন। ওই ম্যাচটাতে বাংলাদেশের হারের পর মন খারাপ করে ফিরেছিলেন বাড়িতে। এবার তিনি একাই এসেছেন বাংলাদেশের ম্যাচটা উপভোগ করতে। দুই বন্ধুকে নিয়ে মেহেদীর থেকে একটু দূরে বসেছিলেন আবদুল আহাদ। খেলার শুরুতেও চিৎকার করেছিলেন বাংলাদেশকে উৎসাহ জোগাতে। জিম্বাবুয়ে–বাংলাদেশ টেস্ট দেখতে এলেন কোন আগ্রহে? উত্তরে আবদুল আহাদ জানালেন, ‘আমাদের বাড়ি এখান থেকে মিনিট দশেকের দূরত্বে। সিলেটে খেলা হলে বেশির ভাগ সময়ই দেখতে আসি।’ আবদুল আহাদের বাড়ি যত কাছে, শুভ সরকারের বাড়ি ততটাই দূরে। জার্সি পরে তিনি বসে ছিলেন শহীদ আবু সাইদ স্ট্যান্ডের ওপরের তলায়। আপনি কি ক্রিকেট খেলেন? মাথা নেড়ে তিনি জানালেন, তাঁর বাড়ি বরিশাল। এত দূর থেকে বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্ট দেখতে চলে এসেছেন? ভুলটা নিজেই ভাঙিয়ে দেন শুভ, ‘আমরা চার বন্ধু মিলে সিলেট ঘুরে দেখতে এসেছি। দু–তিন থাকব। ভাবলাম সিলেটেই যেহেতু খেলা হচ্ছে, কয়েক ঘণ্টা দেখে যাই।’ কিছুক্ষণ গ্যালারিতে থেকে এমন একজন দর্শককেও পাওয়া গেল, যিনি খেলাটা দেখতে এসেছেন এ জন্য যে এখানে খেলা দেখলে ফিলিস্তিনে অর্থসহায়তা পৌঁছে যাবে। কোথা থেকে যেন শুনেছেন, এই টেস্টের টিকিটের টাকার একটা অংশ যাবে ফিলিস্তিনের মানুষের কাছে। যদিও এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আবার কামরুল হাসান রাফি নামে একজনকে যেমন পাওয়া গেল, জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে দেখতে পাবেন, কেবল এই আশাতেই গ্যালারিতে এসেছেন টিকিট কেটে। এমন আগ্রহ বাংলাদেশে আর কতজনকে নিয়েই–বা আছে! |