| শিরোনাম |
|
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা : জুবাইদা রহমানের আপিলের রায় বুধবার
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা : জুবাইদা রহমানের আপিলের রায় বুধবার উভয় পক্ষের শুনানির পর আজ সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন। তবে এ মামলায় দণ্ডিত তারেক রহমান জুবাইদা রহমানের আপিলের সুবিধা পাবেন কি না, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ ও উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত থাকলে তা মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে আইনজীবীদের। আদালতে জুবাইদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন জুবাইদার পক্ষে আপিল দায়েরকারী আইনজীবী মো. জাকির হোসেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আইনজীবী আসিফ হাসান। পরে আইনজীবী এস এম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘৫৪ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের বাইরে তারেক রহমান কিংবা খালেদা জিয়ার কোনো সম্পদ ছিল না, এখনো নেই। এটি একটি দুরভিসন্ধিমূলক মামলা। শুধু জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধেই না, এই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটিও আইনত প্রমাণ হয়নি। কারণ জ্ঞাতসারে কোনো সম্পদ তিনি অধিগ্রহণ করেননি। যেটা উনি (তারেক রহমান) উনার স্টেটমেন্টে দেখিয়েছেন, এটি উনার বৈধ আয়ের সম্পত্তি। শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এবং উনাকে দণ্ডাদেশ দিয়ে রাজনীতি থেকে বিরত রাখার জন্য এই মামলার উদ্ভব ঘটিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, আপিলের রায়ে জুবাইদা রহমান খালাস পাবেন।’ এ আইনজীবী আরো বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে মামলাটি বাতিল হলে আপিল না করলেও তারেক রহমানও সেই সুবিদা পান, সেই আরজি আমরা আদালতের কাছে রেখেছি। সাম্প্রতিক সময়ে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলায় এ রকম সিদ্ধান্ত এসেছে। এনকি আপিল বিভাগেরও এ রকম সিদ্ধান্ত আছে। আদালত বলেছেন সিদ্ধান্তগুলো দাখিল করতে। আমরা কাল (মঙ্গলবার) তা দাখিল করব। আশা করছি, সিদ্ধান্ত দেখে এ মামলা থেকেও তারেক রহমানকে খালাস দেবেন হাইকোর্ট।’ সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা। মামলায় ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। আর তারেক রহমানকে সহযোগিতা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জুবাইদা ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে। পরের বছরই তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট এ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন পেশায় চিকিৎসক জুবাইদা রহমান। ১৭ বছর পর শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে গত ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন। এর পরই তিনি মামলাটির বিরুদ্ধে আপিল করার উদ্যোগ নেন। এর জন্য তিনি গত ১৩ মে হাইকোর্টে বিলম্ব মার্জনা চেয়ে আবেদন করেন। হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে আপিলের অনুমতি দেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করা হয়। পরের দিনই তিনি আপিল করেন। সঙ্গে জামিন আবেদনও করা হয়। ওই দিনই আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। আপিল নিষ্পত্তি পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেন হাইকোর্ট। এরপর আপিল শুনানি শুরু হয়। যদিও গত ২২ সেপ্টেম্বর এই মামলায় জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে অন্তর্র্বতী সরকার। বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন করে আপিল করার শর্তে সাজা স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। |